এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ এ সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo 2024) ১৪ ই ফেব্রুয়ারি হবে। সরস্বতী পুজো মানেই প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজো হয় আর সেখানে সকাল সকাল সেজেগুজে হাজির হয় ছাত্রছাত্রীরা। মেয়েদের শাড়িতে দেখা যায় আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে। তবে দেবীর আরাধনার তিথি ও শুভ সময় জানাটাও তো একান্ত প্রয়োজন। তাই জেনে নিন বাগ্দেবীর আরাধনার সময়সূচি।
বসন্ত পঞ্চমী তিথি কতক্ষন থাকবে?
এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ এ সরস্বতী পুজো ১৪ ই ফেব্রুয়ারি হলেও পুজোর তিথি শুরু হচ্ছে ১৩ ই ফেব্রুয়ারী থেকে। ১৩ ই ফেব্রুয়ারী দুপুর ২ টো বেজে ৪১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে বসন্ত পঞ্চমীর শুভ তিথি। আর থাকবে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ১২ টা বেজে ১০ মিনিট পর্যন্ত।
অঞ্জলির শুভ সময় কখন?
১৩ ই ফেব্রুয়ারী তিথি শুরু হয়ে গেলেও সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে উদয় তিথিতে। অর্থাৎ ১৪ তারিখ সকাল সকাল পুজো হবে। আর তাই অঞ্জলি দেওয়ার শুভ সময় হবে সকাল ৭ টা বেজে ১ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা বেজে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।
সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র
‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যেকমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে। জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোস্তুতে। নমঃ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস সচন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।’
এদিন মহালক্ষী যোগ তৈরী হবে কোন সময়?
২০২৪ সালের সরস্বতী পুজোয় তৈরী হয়েছে রবি যোগ এবং রেবতী নক্ষত্র। আর রয়েছে মহালক্ষী যোগ সাথে ধনযোগ। পুজোর দিন অর্থাৎ বুধবার থাকবে রেবতী নক্ষত্র। রবিযোগ শুরু হবে সকাল ১০ টা বেজে ৪৩ মিনিট থেকে। আর এই যোগ থাকবে আগামী ১৫ ই ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত।
সরস্বতী পুজোর পূর্ববঙ্গীয় রীতি
পুজোর দিন পূর্ব বঙ্গীয় মানুষদের বাড়িতে তাদের রীতি অনুযায়ী জোড়া ইলিশ বরণ করা হয়ে থাকে। ধান, দূর্বা, কাঁচা হলুদ, সিঁদুর দিয়ে কুলোয় করে মাছ বরণ করে করে ঘরে তোলা হয়। আর দামের কারণে যাদের পক্ষে সম্ভব নয় ইলিশ মাছ কেনা, তারা ইলিশের পরিবর্তে জোড়া বেগুন আর একটা লাউডগা বরণ করে ঘরে তোলেন।
সরস্বতী পুজোর এপার বাংলার রীতি
এপার বাংলার প্রতিটি বাড়িতেই এইদিন গোটা সিদ্ধ তৈরির রীতি মানা হয়। ৫-৭ টি সবজি দিয়ে তৈরী করা হয় এই গোটা সিদ্ধ রান্না। এই রান্না মূলত শীতল ষষ্ঠী ব্রত উদযাপনে তৈরী করা হয়ে থাকে। উনুন ও শিল নোড়াকে বিশ্রাম দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়ে থাকে।