জি বাংলার (Zee Bangla) অতি চর্চিত একটি সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে এমন কিছু বাস্তব চিত্র পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে যা মানুষকে অন্তর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সেইসব দৃশ্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। শিমুল চরিত্রটা দর্শকদের মাঝে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কারুর কাছে শিমুল প্রতিবাদী তো কারুর কাছে শিমুল ভীষণ বোকা ও ন্যাকা একটা চরিত্র।
একই জায়গায় বারবার প্রতারিত হবার পরও শিমুল সেখানেই পরে থাকতে চায়। নতুন ভাবে সবকিছু শুরু করার চেষ্টা করে। সুযোগ দিয়ে থাকে। কিন্তু বারবার শিমুলের সেই সুযোগের অপব্যবহার করে চলেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরাগকে ডিভোর্স দিলেও শাশুড়ি আর অসুস্থ ননদের কথা চিন্তা করে শ্বশুরবাড়িতেই থেকে গিয়েছিল। কিন্তু বদলে জুটল খুনির অপবাদ।
বিয়ের দিন পরাগকে প্রতীক্ষা বিষ দিয়ে শিমুলকে দোষী সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছিল। তবে শিমুলের পাশ থেকে বিপদে সবাই সরে গেলেও তার হাত ছাড়েনি তার বন্ধুরা। পারে এসে যাদের সাথে মনের দৃঢ় বন্ধন গড়ে তুলেছিল, আজ তারাই শিমুলের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর অন্যদিকে, ভালোবাসার মানুষটার বিপদে দূরে সরে থাকতে পারেনি শতদ্রুও।
আরও পড়ুনঃ নতুন রূপে ভিলেন চরিত্রে ফিরছেন ‘গাঁটছড়া’ অভিনেতা, দেখা যাবে এই সিরিয়ালে
সেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল, আর অবশেষে দীর্ঘ এক লড়াই পার করে জয় শিমুলেরই হয়। শিমুল কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়। আর প্রতীক্ষাকে এক বছরের জন্য কারাদন্ড দেন বিচারক। শিমুল নির্দোষ প্রমাণিত হতেই পরাগ কিছুটা হলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এমনকি ভাইয়ের কাছে সে নিজেমুখে স্বীকারও করে নেয় যে সে মনে মনে কোথাও জানত শিমুল অন্তত তাকে মারতে পারেনা কখনও।
একদিকে, পলাশ তার বউ এমন একটা কাজ করেছে বিশ্বাস করতেই চায়না। আর অন্যদিকে, শিমুল নির্দোষ জেনে তাকে আরেকবার নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে পরাগ। কিন্তু শিমুল এবার আর পিছন ফিরে তাকাতে চায়না। সে চায় শতদ্রুকে সুযোগ দিতে। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি প্রোমো অনুযায়ী পরাগের থেকে যাওয়ার অনুরোধে শিমুল বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। তাই দর্শকের একাংশ মনে করছেন শিমুল হয়ত আবারও পরাগের সাথে সংসার করবে। এবার দেখার কি হয়?