দুই নৌকায় পা দিয়ে কখনওই চলা যায় না। যে কোনও একটা দিক বেছে নিতে হয়। নাহলে একূল-ওকূল দু’কূলই হারাতে হয়। সেই ভয়টাই এখন পাচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ফুলকি’ (Phulki)। সেই জন্য সে এবার রোহিতকে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, যে কোনও একজনকে বেছে নিতে। হয় শালিনী (Shalini) নাহলে ফুলকি, যে কোনও একজনের হাত ধরতে হবে তাকে।
জি বাংলার এই সিরিয়াল (Serial) যারা নিয়মিত দেখেন তাঁরা জানেন, শালিনী হল রোহিতের (Rohit) প্রাক্তন স্ত্রী। অপরদিকে ফুলকি তার বর্তমান জীবনসঙ্গী। একটা সময় শালিনী অন্ত প্রাণ ছিল রোহিত। তবে এখন আস্তে আস্তে ফুলকির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে সে। আর এটাই কিছুতে মানতে পারছে না শালিনী (Shalini)। তার এখনও একটাই লক্ষ্য, ফুলকিকে রায়চৌধুরী বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা।
তবে শালিনী কিন্তু রোহিতকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে না। রোহিত যখনই বিপদে পড়ে, তখনই সে উল্টো পথে হাঁটা দেয়। কিন্তু যেহেতু প্রাক্তন স্ত্রী, তাই এতকিছুর পরেও শালিনীর প্রতি রোহিতের একটা টান থেকেই গিয়েছে। কিন্তু ফুলকি তার বর্তমান জীবনসঙ্গী। ফুলকি যেভাবে তার এবং তার পরিবারের খেয়াল রাখে, সব বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা দেখে আস্তে আস্তে তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে রোহিত।
আরও পড়ুনঃ ছেলেও পাবেনা পার, অয়ন-মৌমিতাকে শাস্তি দিতে বাড়ি থেকে তাড়ালো, জেঠু’র চরিত্রে মুগ্ধ দর্শক
কিন্তু ফুলকি এবার স্পষ্ট বলে দিয়েছে, রোহিতকে যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে। কিন্তু শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না! তাই এবার মোক্ষম চাল চেলেছে সে। রোহিতকে ইতিমধ্যেই ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছে ফুলকি। সেটা দেখে ভীষণ রেগে যায় রোহিত। সে জিজ্ঞেস করে, এগুলো কি ইয়ার্কি হচ্ছে? ফুলকি দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেয়, হয় শাকচুন্নি ম্যাডাম নাহলে ফুলকি দাস, যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে আপনাকে।
এদিকে রোহিত যে ফুলকিকে ডিভোর্স দিতে চায় না, সেটা তার ব্যবহার দেখেই পরিষ্কার। সম্পূর্ণ বিষয়টায় বেশ রেগে আছে সে। অন্যদিকে শালিনী আর রোহিত ফুলকিকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। তারা বলে, ফুলকি একেবারেই সহজ মেয়ে নয়। ও একেবারে মোক্ষম চাল দিয়েছে। এরপর রুদ্র বলে, তোমায় যে শাকচুন্নি ম্যাডাম বললো সেটার প্রতিবাদ করো।
আরও পড়ুনঃ কথার রাগ ভাঙাতে বুকে টেনে নিল অগ্নিভ! নতুন প্রোমো দেখে দিলখুশ দর্শকদের
রোহিতের কাছে গিয়ে বলো, যা হয় ভালোর জন্য হয়। এরপর তোমরা বসে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করো। শালিনী তখন আত্মবিশ্বাসের সুরে বলে, বিয়ের তারিখ যখন হোক ঠিক করা যাবে। আমি যখনই বলবো, রোহিত আমায় বিয়ে করবে। এদিকে কিছুতেই কাজে মন বসতে চায় না রোহিতের। তার কিছুই ইচ্ছা করছে না, সে কি করবে ভেবে উঠতে পারে না। এবার এটাই দেখার, রোহিত কী সিদ্ধান্ত নেয়?