জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) সিরিয়ালটি বর্তমানে দর্শকমহলে সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে। এই ধারাবাহিক জুড়ে একের পর এক পরকীয়া আর নারী নির্যাতনের গল্প। যা দেখে একদল দর্শক সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরায় সাহসী বলেছেন। তো একদল দর্শক এইসব গ্রহণযোগ্য দৃশ্য নয় বলে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন।
সম্প্রতি, ধারাবাহিকে কোর্ট কেস দেখা গেছে। শিমুলকে পরাগকে মারার অপরাধে সকলে মিলে দোষী প্রমাণিত করতে চেয়েছিল। তবে শিমুল তার পাশে নিজের কিছু প্রিয় মানুষকে পেয়ে মনের জোর দিয়ে লড়ে যায়। আর তাতেই সত্যিটা সামনে চলে আসে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শিমুল নির্দোষ প্রমাণিত হয় আর জেলে যায় প্রতীক্ষা।
শিমুল নির্দোষ প্রমান হতেই পরাগ তার ভুলটা বুঝতে পেরেছে। সে শিমুলের কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়। সে শিমুলকে এমনটাও জানায় শিমুল যদি তাকে সুযোগ দেয় তারা আবার একসাথে সংসার করবে। কিন্তু শিমুল আর ওই নরকে ফিরতে চায়নি। সে স্পষ্ট করে পরাগকে জানিয়ে দিয়েছিল যে সে পরাগের সাথে আর সংসার করবেনা।
তবে ব্যানার্জী বাড়ি থেকে বেরিয়েও নিস্তার নেই শিমুলের। পুতুলের বিয়েকে কেন্দ্র করে শিমুলকে সেই বিয়েতে অংশগ্রহণের জন্য আবার ওই ব্যানার্জী বাড়িতে যেতে হয়। সেখানে শিমুলকে তীর্থর বৌদি অপমান করলে পরাগ নিজে তার প্রতিবাদ করে। এমনকি সে পুতুলের মত দিদি পেয়ে নাকি খুব ভাগ্যবান মনে করে নিজেকে।
পরাগের কথা শুনে উপস্থিত সকলেই বেশ চমকে যায়। এদিকে পুতুলের বিয়ের মিষ্টি আনতে গিয়ে পথে পরাগের বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে। শিমুল বাড়ির আর কাউকে না জানিয়ে সুচরিতা, শীর্ষা, বিপাশাকে সাথে নিয়ে পরাগকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে সেখানে গেলে ডাক্তার জানায় পরাগের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় বন্ডে সই করতে হবে।
আর এখানেই জানা যাচ্ছে শিমুল বউ হিসাবে বন্ডে সই করবে। তার পরেই পরাগ সুস্থ হলে শোনা যাচ্ছে, শিমুল আর পরাগ আবার একসাথে সংসার করবে। আর তাদের জীবনে আসবে একটা ফুটফুটে সন্তান। তবে এই সবকিছুর মাঝে শতদ্রুর সাথে খুব অন্যায় হবে বলছেন দর্শক। এবার দেখার সত্যিই কি এইভাবে গল্পে মোড় আনা হবে? নাকি থাকবে কোনো বিশেষ চমক?