ভ্রুণ পরীক্ষা করা আইনত অপরাধ। যেটা সকলকেই মানতে হয়। কিন্তু এমন এখনও এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা এই অপরাধ মূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। অনেকেই জানেন না এই অপরাধ মূলক কাজ করলে কি শাস্তি হতে পারে। তবে বর্তমানে আর এই সমস্ত অপরাধ চাপা নেই। সিনেমার পর্দা ছাড়িয়ে এবার বাংলা ধারাবাহিকে(Bengali Serial)ও এই গল্প ফুটে উঠছে। ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’(Horogouri Pice Hotel)এ।
এটি স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক। এখানে দেখা গেছে দুই মেরুর মানুষের সাথে মনের মিলন। শংকর আর ঐশানী। দুজনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কিন্তু তারা তা সত্ত্বেও স্বামী-স্ত্রী। সুন্দর সম্পর্ক তাদের মধ্যে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত আর গড়েছে নিজেদের সংসারও। ঐশানী এখন সিরিয়ালে পুলিশ অফিসার।
তার চোখকে কেউ ফাঁকি দিতে পারবেনা। বর্তমানে ধারাবাহিকের কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে, সকলেই মেতে উঠেছে সরস্বতী পুজোর আনন্দে। আর যারা শত্রু হয়, তারা তো কিছুতেই ভালো চাইবে না। বরং খারাপটাই চাইবে। আর ঠিক সেটাই হল। তমসা ভোগের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়। সকলেই সেই খাবার খেতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মা হচ্ছে শিমুল! সন্তানের বাবা কে? চমকদার মোড় ধারাবাহিকে!
কিন্তু এর মাঝেই আসে সিরিয়ালের একটি নতুন প্রোমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঐশানীর হাতে একটা কেস ফাইল। যেটা এমন একটা কেসের যাচ্ছে কেউ ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করেছে। যে হসপিটাল এই কাজের সাথে জড়িত, তাদের কাছেই ঐশানী যাচ্ছে। হসপিটালে গিয়ে জানতে পারে এই কাজে জড়িত তার শাশুড়িও।
শাশুড়ি তার আর এক বৌমার ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সেই খবর জানতে পেরেই শাশুড়িকে গ্রেফতার করতে হাজির হয় ঐশানী। ‘আজ মেজো বৌমা নই এসিপি ঐশানী ঘোষ’। সে এই বলেই বাড়িতে প্রবেশ করে। তারপর নিজের শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। একদিকে পেশার দায়িত্ব আর একদিকে সংসারের কর্তব্য। কোনটাকে ঐশানী সামাল দেবে? কোনদিকে সে যাবে সেটাই এখন দেখার।