Indrani Haldar : আমরা যাদের লাইমলাইটে দেখি তাদের সবার জীবন যে ঝা চকচকে তা কিন্তু নয়, সবার শুরুটা গল্পের মত সাজানো ছিলনা। ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে গিয়ে করতে হয়েছে অনেক স্ট্রাগল। কেউ কেউ তো খুব খারাপ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। সেরকমই একজন অভিনেত্রী হলেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar)। বড়পর্দা, ছোটো পর্দা, সিরিজ সবেতেই তাঁর অবাধ বিচরণ। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জীবনে রয়েছে ভয়ংকর এক কালো অতীত অভিজ্ঞতা।
মাত্র ২০ বছর বয়সে এক ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। নিজের অভিনয় দক্ষতার দ্বারা তিনি এই অল্প বয়সেই মুম্বাইয়ের একটি সিনেমায় কাজ পেয়েছিলেন। আর সেই কাজ তাঁর জীবনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা সম্মুখীন করেছে। এই সিনেমায় অনেক নামীদামী শিল্পী ছিলেন। প্রথমবার যখন শ্যুটিং হয়, তখন তিনি তাঁর মায়ের সাথে গিয়েছিলেন।
View this post on Instagram
কিন্তু দ্বিতীয় বার গিয়েছিলেন একা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দ্বিতীয় লটের শ্যুটিং এর জন্য আমার টিকিট কাটা হয়েছিল সকালের ফ্লাইটে, আর বাবার টিকিট কাটা হয়েছিল বিকেলের ফ্লাইটে। কেন এমনটা হল আমি বুঝতে পারলাম না। প্রথমবার কমদামি হোটেলে রাখা হল, দ্বিতীয় বার ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা হয়। তারপর হোটেলে গেলাম। সেদিন আমার কোনো কাজ ছিলনা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ‘চিঠি’ এবার হিন্দির পর্দায়, বলিউডে ডেবিউ করতে চলেছেন দেবচন্দ্রিমা!
তখন সবে সবে টেলিফোন উঠেছে। আমার কাছে ফোন এল, প্রোডিউসার আমার সাথে দেখা করতে আসবেন, আমি তো ঘাবড়ে গেলাম। উনি কেন দেখা করতে আসবেন। আমার ডিরেক্টরকে ফোন করলাম। তিনি অভয় দিয়ে বললেন কিছু হবেনা। তারপর প্রোডিউসার রুমে এলেন, আমার সাথে কথা বললেন, কিছুক্ষণ পর আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
আমি বাঁধা দেওয়ায় আমার সাথে জোরপূর্বক খারাপ আচরণ করতে শুরু করলেন। এরপরে হঠাৎ প্রোডিউসারের ফোনে ফোন এল। ওনার স্ত্রীর ফোন। তখন আমি বুদ্ধি করে দরজার লক খুলি এবং কাশতে থাকি। যাতে স্ত্রী শুনতে পায় । এভাবে আমি বেঁচে ফিরলাম’। পরে ওই প্রোডিউসারের সাথে অনেক বার দেখা হয়েছে, কিন্তু তিনি অভিনেত্রীর দিকে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেননি।
কে তিনি? তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। তবে তিনি এখন বেঁচে নেই। এই ঘটনা যেমন তাঁর জীবনে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছেন, তেমনই তাঁর জীবনে কনফিডেন্ট এনে দিয়েছে। ওই প্রোডিউসার বলেছিলেন, কখনো ইন্দ্রানী হালদার ভালো কাজ পাবেননা। কিন্তু তিনি পেয়েছেন, দেখিয়েছেন তিনি কত দক্ষ অভিনেত্রী।
