Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলায় (Zee Bangla) যে কয়েকটি ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবাদী মূলক ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। সমাজের এক বাস্তব দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে। প্রতিটি পদে পদে শিমুলের প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে সকলেই প্রশংসা করেন। কিছু খারাপ মানসিকতার মানুষদের সাথে প্রতি পদে একটা মেয়েকে কিভাবে লড়াই করতে হয়? নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখার জন্য।
কিভাবে অধিকার বুঝে নিতে হয় সেটাই দেখা যায় এখানে। বর্তমান প্লট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শিমুল অনেকদিন পরাগকে সহ্য করেছে। এবার তার ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে। এবার পরাগকে শিমুল ডিভোর্স দিতে চলেছে। শিমুল বিপাশাদি দের নিয়ে উকিলের কাছে যায়। শিমুলের ডিভোর্স শুনে সবাই দুঃখ প্রকাশ করে। তারপর দেখা যায়, পরাগ, পলাশ, প্রিয়াঙ্কা, প্রতীক্ষা একসাথে আসছে।
শিমুলকে বিপাশাদের সাথে দেখে প্রতীক্ষা, প্রিয়াঙ্কার ভয় হয় ডিভোর্সটা দেবে তো? এরপর দুজনে উকিলের কাছে প্রবেশ করে, উকিল জিজ্ঞাসা করে, আপনাদের সমস্যাটা কি? কোনোভাবেই কি আর ঠিক হওয়ার নয়? আর একবার ভেবে দেখা যায়না। উকিলের এইসব কথা শুনে পরাগ কান্নার অভিনয় করে বলে, ‘আমি চেয়েছিলাম সংসারটা করতে। কিন্তু পারলামনা। নিজের হাতে নিজের বিয়ে কেউ কখনো ভাঙতে চায়?
আমি ওকে অনেক বুঝিয়েছি, কিন্তু তাও কিছু হয়নি। ওকে ডিভোর্স দিতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’ এরপরই পরাগ শতদ্রুর কথা তোলে, বিয়ের আগে শিমুলের শতদ্রুর সাথে একটা সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কটা এখনো রয়েছে। আর তার কারণেই শিমুল তাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই সে চাইছে ডিভোর্স হোক।
উকিল শিমুলকে প্রশ্ন করে, বিয়ের আগে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সব জেনে শুনে কেন এই ছেলেটার জীবন নষ্ট করলেন। এরপর পরাগ বলে, ও যখন ফাইনালি চাইছেনা, তাহলে আর কি করা যাবে। এরপর উকিল তাদের ৬ মাস একসাথে থাকার প্রস্তাব দেয়। শিমুল প্রস্তাবে রাজি হয়। ব্যাস খেলা উল্টে গেল। পরাগের নাটক ফেল করল, হিতের বিপরীত হল, আবার একসাথে থাকতে হবে ছয় মাস। প্রিয়াঙ্কাকে আর বিয়ে করা হল না পরাগের।