স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowa) যারা দেখেন তারা জানেনই ধারাবাহিকের নায়িকা দীপা একজন শক্তিশালী নারী। এতদিন দীপা নিজের জীবন নিজের সম্পর্ক নিয়ে লড়েছিল। এখন সে নিজের মেয়েকে নিয়ে লড়ছে। মিশকার শয়াতানি ছায়া শুধু সূর্য-দীপার জীবনকে শেষ করছে তা নয়। রূপার জীবনেও তার প্রভাব পড়েছে।রূপাকে মেরে ফেলতে মিশকা গাড়ির ধাক্কা মারে।
রূপার মাথায় চোট লাগে, রূপা কোমায় ছিল। এখন তার জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও পুরোপুরি রূপা সুস্থ নয়। রূপার কি হয়েছে? তা অর্জুন জানে। এইসময় তার প্রয়োজন ছিল সূর্যর। কিন্তু সূর্য পিতৃত্ব ভুলে অভিমানে দীপাকে ছেড়ে চলে যেতে ব্যস্ত। এই ঘটনায় অর্জুন অবাক। তাই সে দীপাকে বলে, ‘এই সময় ডক্টর সেনগুপ্তকে প্রয়োজন ছিল।
আমি কি করে রূপাকে বাঁচাব বুঝতে পারছি না। তবে আমি ডক্টর সেনগুপ্তর মতো সবকিছু ছেড়ে চলে যাব না’। সূর্যর এই দায়িত্ব দেখে সকলেই মুগ্ধ, বাবা না হয়েও সন্তানের প্রতি টান দেখে সকলেই তার প্রশংসা করছে। এর পাশাপাশি অর্জুন জানায়, ‘রূপার চিকিৎসার জন্য এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ওর রেয়ার অসুখ হয়েছে। ওর স্পাইনের শেষে একটা টিউমার আছে।
স্পাইনারের সমস্ত রস সেই টিউমারটা শুষে নিচ্ছে। মিশকা একটা উপকার করেছে। এই অ্যাক্সিডেন্টের জন্য যে কটা টেস্ট করা হয়েছে তার মধ্যেই এই টিউমারটা ধরা পড়ল। নয়তো এটা জানতেই পারতাম না।’ শুধু তাই নয় অর্জুন আরও বলে, রূপার এই অসুখটা আজকের নয়। অনেকদিন ধরেই ছিল। একটু একটু করে দিনের পর দিন বাড়ছিল। পৃথিবীতে খুব কম জনের এরকম অসুখ রয়েছে। কোনো কোনো ভুল ভাল হলেই মানুষটা সারাজীবন অসাড় হয়ে যাবে।
আর রূপাকে সুস্থ করার জন্য হাতে হয়ত আর মাস তিনেক সময় আছে। তার মধ্যেই যা করার করতে হবে। এই কথা শুনে দীপা কান্নায় ভেঙে পড়ে। রূপা বাঁচবে তো? এরপর সে পাগল পাগল হয়ে যায়। সে অর্জুনকে বলে, আমার রূপার জন্য যা টাকা লাগবে সব আমি জোগাড় করব। আমি থাকতে ওর কিছু হবে না। দীপা জানায়, ফুলের ব্যবসা করবে আর হোম ডেলিভারি করবে। দুটো একসাথে করে এই টাকা জোগাড় করবে। এবার দেখা যাক কীভাবে এই টাকা জোগাড় হয়।