জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল এখন ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Katha)। একটা মেয়ে অসহায় সম্বলহীন হলে তার শ্বশুরবাড়িতে তাকে সম্ভাব্য কতটা লড়াই করতে হতে পারে সেই গল্পই এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে। শিমুল শুরু থেকেই এমন এক শ্বশুরবাড়িতে এসে পড়েছিল যেখানে তাকে চাইলে সকলে মেরেও ফেলতে পারত। তবে শিমুল তার উপর হওয়া অত্যাচারের বারংবার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
তবে সময় সবসময় এক থাকেনা। সময় পরিস্থিতি সর্বদাই বদলাতে থাকে। তেমনই শিমুলের জীবনেও সেই বদল চোখে পড়েছে দর্শকদের। সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে শিমুলের আপন হয়ে উঠেছিল তার শাশুড়ি মধুবালা আর ননদ পুতুল। কিন্তু মধুবালা যতই শিমুলকে মেয়ের মত বলুক সেকথা মুখেই থেকে যায়। শিমুলকে আসলে মেয়ে ভাবতে পারেননি তিনি।
আর তার প্রমান ক্ষনে ক্ষনে শিমুলের প্রতি অবিশ্বাস। তার সন্তানদের উপর যখনই কোনো আঁচ আসে মায়ের মনের স্বভাবেই তিনি শিমুলকে অবিশ্বাস করে বসেন। আপন ছেলেরাই তখন একমাত্র নিজের থাকে আর শিমুল হয়ে যায় পর। এই নিয়ে মধুবালা চরিত্রটি বারকয়েক ট্রোলডও হয়েছেন নেটপাড়ায়।ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক কাহিনী অনুযায়ী, পরাগের বিয়ের দিন পরাগকে বিষ খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া স্টার এবার ছোটপর্দায়, ফুগলা’কে দেখতে উৎসাহিত দর্শকেরা
এই ঘটনার পিছনে সম্ভবত পলাশ আর প্রতীক্ষার হাত রয়েছে। তবে তারা শিমুলকে এই ঘটনায় ফাঁসাতে প্রানপনে চেষ্টা করে চলেছে। কোর্টে প্রমান করার আগেই শিমুলই যে পরাগকে বিষ খাইয়েছে সেকথা মধুবালাকে বিশ্বাস করিয়ে দেয় পলাশ আর প্রতীক্ষা। শিমুল বর্তমানে জেলে। তার এই কঠিন সময়ে আপনজন কেউ নেই পাশে। শ্বশুরবাড়িতে যারা আপন ছিল তারাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শতদ্রু পাশে নেই। পাশে নেই শিমুলের নিজের মা-দাদা-বৌদিরাও। তারা শিমুলের জেলে থাকার খবর পাওয়া মাত্রই তার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চায়না। শিমুলের মা তাকে মৃত বলেই ঘোষণা করে দেয়। কিন্তু এই বিপদের মুহূর্তে শিমুলের পাশে সাহায্যের হাত হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পাড়ার বন্ধুরা। তারা শিমুলকে একা ছেড়ে দেয়নি। তার বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বন্ধুকে বাঁচাতে।