অপরাধী যারা হয়, তারা কখনোই কাঁচা কাজ করেনা, তারা সবসময় চেষ্টা করে নিজেদেরকে কীভাবে বাঁচানো যায়। নিজের জায়গা সেফ রেখেই কাজটা করে। আর একজন অপরাধী নিজেকে বাঁচাতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করে যায়। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri) সিরিয়ালে সেই প্রতিচ্ছবিই ফুটে ওঠে কিন্তু অপরাধী যতই চালাক হোক জ্যাস সান্যালের হাত থেকে তাকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা। মুখার্জী বাড়ির ক্ষমতার আড়ালে দিনের পর দিন গুরুতর সব অপরাধ করে চলেছে উৎসব মুখার্জী।
এবার আর পার পাবেনা সে। সাম্প্রতি ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। একের পর এক মুখোশ উন্মোচন পর্ব। ঠান্ডা মাথায় চোখ কষে জগদ্ধাত্রী ও কৌশিকী মুখার্জীকে মেরে ফেলার চক্রব্যূহ রচনা করে হয়েছিল। যাতে তারা আটকাও পড়েছিল কিন্তু শেষ হাসি শয়তান হাসতে পারেনি। অর্থাৎ জগদ্ধাত্রী ও কৌশিকী দুইজনেই বেঁচে আছে শত্রুর চোখে ফাঁকি দিয়ে।
এই হত্যা তদন্তে সামনে এসেছে যে বন্দুক থেকে গুলি চলেছিল সেটা রাজনাথ মুখার্জীর নাম লাইসেন্স করা আছে। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহের তীর রাজনাথের দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু কৌশিকী তার কাকুমনিকে ভীষণ ভালো করে চেনে তাই সে বাঁধা দিয়ে বলে সঠিক সন্ধান করতে। আর সেখানেই কেঁচো খুঁজতে কেউটে বেরিয়ে আসে।
অর্থাৎ, রাজনাথ মুখার্জীর নামের আড়ালে লুকিয়ে সমস্ত পরিকল্পনার মাথা ছিল উৎসব মুখার্জী। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সে একা রাজত্ব করতে চেয়েছিল। আর তাই একটার পর একটা অপরাধ বুক চিতিয়ে করে গেছে। শুধু তাই নয় সে এতটাই নিচে নেমে গেছে যে, নিজের বাবাকে এতবড় একটা বদনামের ভাগিদার করতে তার বাঁধেনি। সে নিজে কাজ করে বাবার নাম ব্যবহার করেছে।
তবে আর উৎসবের বাঁচার কোনো চান্স নেই। সে ধরা পরে গেছে। তার সমস্ত পরিকল্পনার উপর থেকে একে একে পর্দা উন্মোচন হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণও জোগাড় করা হচ্ছে। তবে দেখার শেষপর্যন্ত সত্যিই উৎসব শাস্তি পায় কিনা? নাকি তাকে ক্ষমতার দম্ভে ফের বাঁচিয়ে নেবে মুখার্জী পরিবার। আগামী পর্বগুলিতেই এর উত্তর পাওয়া যাবে।