স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া'(Anurager Chowa)তে চলছে জমজমাট পর্ব। ধারাবাহিকের প্রধান নায়িকা দীপা সবসময় সেনগুপ্ত বাড়ির পাশে ছিল, কিন্তু দীপার পাশে কেউ নেই, দীপা নিজের লড়াইয়ে নিজেই সামিল হয়েছে। তার কাজের মূল্য কেউ দেয়নি। কিন্তু তাই বলে দীপা মুখ ফেরায়নি। দীপা আবারও সেনগুপ্ত বাড়ির পাশে দাঁড়াল।
ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেনই সেনগুপ্ত বাড়ি আজ খুব সংকটে। এদিকে দীপার মেয়ে রূপা খুবই অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য দরকার ২২ লক্ষ টাকা। সেই টাকা সে কীভাবে জোগাড় করবে? তার চিন্তায় রয়েছে দীপা। এর মাঝেই লাবণ্য সেনগুপ্ত এসে দীপার কাঁধে ওঠে। লাবণ্য সেনগুপ্ত নিজেই দীপার কাছে সাহায্য চেয়ে বসে।
দীপা যখন সেনগুপ্ত বাড়িতে সাহায্যের জন্য যায়, তখনই তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় পাপাই। সাথে রয়েছে উকিল এবং পুলিশ। পাপাই বলে আপনারা এক্ষুণি এই বাড়িটা খালি করে দিন। প্রবীর বলে, এই বাড়ি তো আমাদের। তখন পাপাই জানান, আগে ছিল এখন আর নেই। উকিল জানান, মিসেস সেনগুপ্ত এই বাড়ি আমাদের নামে লিখে দিয়েছেন। শুধু বাড়ি নয়, ব্যবসাও।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি ফুলকিকে ত্যাগ করতে পারবোনা’, শালিনীকে জীবন থেকে বরাবরের মত সরিয়ে দিল রোহিত
উকিল জানান, আজই পাপাইয়ের বাড়িটা চায়। লাবণ্য সেনগুপ্ত বুঝতে পারেন না এই কাজ কে করল? এরপরে লাবণ্য সেনগুপ্ত বুঝতে পারেন এটা তার এক কর্মচারীই করেছে। আর সেই কর্মচারী হল মিস্টার সরখেল। কাকাই রাগ করে মারধর করে পাপাইকে এর দরুন কাকাই আর প্রবীরকে জেলে যেতে হয়। কাকিমা দীপার কাছে সাহায্য চায়।
লাবণ্য সেনগুপ্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই বিপদে ভিক্টরও চলে যায়। আবার সাথে রয়েছে মিশকার সন্তান। মিশকার সন্তানকে দীপা কোলে নেয়, আর সেনগুপ্ত বাড়ির সকলকে নিয়ে দীপা নিজের বাড়ি যায়। এদিকে রূপার অবস্থা খুব শোচনীয়। ডাক্তাররা টাকা চাইছেন যতক্ষণ না টাকা দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসা হবে না। এবার কি করবে দীপা? উত্তর মিলবে আগামী পর্বে।