‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের প্রত্যেকটি সদস্যের জীবনে এখন ঝড় উঠেছে। একদিকে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনমৃত্যুর লড়াই লড়ছে রূপা। অন্যদিকে সেনগুপ্ত পরিবারের সদস্যদের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়েছে মিশকার পাপাই। ভিক্টরকে বিয়ে করে এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তিস্তাও। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জীবনের ওপর দিয়ে যখন এত ঝড় বয়ে যাচ্ছে তখন বেপাত্তা সূর্য।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই সিরিয়ালের (Bengali Serial) গত পর্বেই দেখা গিয়েছিল, অর্জুন আর রূপার সম্পূর্ণ কথোপকথন শুনে ফেলেছে দীপা। আজ দেখা যাবে, দীপা (Deepa) অর্জুনকে বলে দেয় সে এসব কিছু মেনে নিতে পারবে না। দীপার মুখে একথা শুনে প্রচণ্ড রেগে যায় অর্জুন (Arjun)। সে বলে, আমি তোকে চাই এটা নয়, আমি শুধু চাই রূপা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। তুই কি ভাবছিস আমি রূপাকে ব্যবহার করে নিজের প্রেমজীবন সুন্দর করতে চাইছি?
এখানেই না থেমে অর্জুন বলে, যদি এটা ভেবে থাকিস তাহলে ভীষণ ভুল ভাবছিস। রূপা (Rupa) অনেকদিন আগে থেকেই আমায় এসব কথা বলে। তবে আমি তোকে কখনও এগুলো বলিনি। কারণ আমার জন্য ওর সুস্থ হয়ে ওঠা বেশি জরুরি। অর্জুনের মুখে এসব কথা শুনে তার প্রতি দীপার বিশ্বাস এবং সম্মান আরও বেড়ে যায়। এরপর উকিলকে নিয়ে থানায় যায় দীপা।
আরও পড়ুনঃ TRP টানতে শুরুতেই লিপ, নতুন রূপে ফিরে এল কিঞ্জল! ফাঁস ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধুন্ধুমার পর্ব
সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে, প্রবীরকে ছাড়ানোর জন্য ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। আর প্রতীককে এই মুহূর্তে ছাড়া যাবে না। কারণ কাকাইয়ের ওপর প্রাণহানির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। দীপা ভাবে, তার কাছে যেটুকু টাকা আছে সেটা দিয়ে সে এখন প্রবীরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। এরপর কাকাইয়ের জন্য লড়াই করবে।
এরপর প্রতীক বাড়ি ফেরেনি দেখে ভীষণ রেগে যায় কাকিয়া। তার সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে দীপার ওপর। কিন্তু এবার নিজের ভুল বুঝতে পারে লাবণ্য। তাই সে দীপাকে দোষারোপ না করে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। অপরদিকে দীপা যখন থানায় গিয়েছিল তখন মিশকার পাপাই তাকে একটা অফার দেয়। সে বলে, দীপা যদি মিশকাকে জেল থেকে ছাড়ায় তাহলে তাকে অনেক টাকা দেবে। কিন্তু দীপা মুখের ওপর সেই অফার রিজেক্ট করে দেয়। অন্যদিকে অর্জুনের সঙ্গে নানান গল্প করতে থাকে রূপা।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলা মিডিয়াম’ শেষ হতেই রানী রূপে কামব্যাক! ফের ছোটপর্দায় ফিরছেন তিয়াশা
অর্জুনকে জিজ্ঞেস করে, অপারেশনের পর সে কি ভালো হয়ে যাবে নাকি মারা যাবে? অর্জুন জবাবে বলে, সে একদম ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু রূপা বয়সের তুলনায় অনেকটাই পরিণত। তাই তার চোখে চোখ রেখে মিথ্যে বলতে পারে না অর্জুন। এরপর রূপা ফের বলে, তার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে অর্জুন যেন দীপা আর সোনার খেয়াল রাখে। অর্জুন ফের তাকে আশ্বস্ত করে। বলে, সে সবকিছুর দায়িত্ব নেবে। এরপর ফের আচমকা শরীর খারাপ হয় রূপার। তাহলে কি রূপার মুখ চেয়েই অর্জুনকে বিয়ে করবে দীপা?