মেঘ নয়, বন্দুক পেতেই রূপের দিকে তাক করলো ময়ূরী! শেষের আগে বড় চমক ‘ইচ্ছে পুতুল’ সিরিয়ালে

Published On:

শেষ থেকে শুরু হয়েছে ‘ইচ্ছে পুতুল’র (Icche Putul) মেঘ-নীলের সফর। দুই পরিবারের দৌলতে আবারো সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে দু’জনে। যদিও সবটাই হতে চলেছে অজান্তে। একেবারে বিয়ের মণ্ডপে গিয়ে সবটা জানতে পারবে তারা। অন্যদিকে বোনের বিয়ের পণ্ড করতে উঠেপড়ে লেগেছে ময়ূরী (Mayuri)। বিয়ের আসরেই মেঘকে (Megh) শেষ করতে রূপের থেকে বন্দুক আনিয়েছে সে।

জি বাংলার (Zee Bangla) এই সিরিয়ালের (Bengali Serial) প্রত্যেকটা এপিসোড এখন দারুণ জমজমাট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মেঘ-নীলের মহাবিবাহ পর্ব। বর-কনে দু’জনেই বিবাহ বেশে তৈরি। এদিকে এই বিয়ে নষ্ট করার প্ল্যান সাজানো হয়ে গিয়েছে ময়ূরীরও। বড় মেয়ে কী কাণ্ড বাঁধাবে, এই নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে অনিন্দ্য-মধুমিতাও।

Icche Putul serial Anindya and Madhumita

গত পর্বে দেখা গিয়েছে, বিয়ে করতে যাওয়ার আগে মেঘকে বরণ করছে তার মা মীনাক্ষী। সেই সময় নীলের (Neel) মনে একটা প্রশ্ন দেখা দেয়। সে জিজ্ঞেস করে, যে মেয়েকে আমি বিয়ে করছি, তার একবারও আমার বিষয়ে জানার ইচ্ছা হল না? আমার সন্দেহ হচ্ছে। সে আমার ব্যাপারে সব কিছু জানে তো? জানা সত্ত্বেও একবারও কেন আমার সঙ্গে দেখা করলো না।

আরও পড়ুনঃ ফুলকির জীবনে নতুন ঝড়, রোহিতকে ছিনিয়ে নিতে মারাত্মক ষড়যন্ত্র শালিনীর!

নীলের মুখে এসব প্রশ্ন শুনে সবটা সামাল দেয় ঠাম্মি। নিজের বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। ঠাম্মির কথা সন্তুষ্ট হয়ে বিবাহ আসরের জন্য বেরনোর তোরজোড় করে নীল। অন্যদিকে আবার ডায়মন্ড সেট নেওয়ার বাহানা করে রূপের (Rup) কাছে চলে আসে ময়ূরী। রূপ কথা মতো তার হাতে বন্দুক তুলে দেয়।

Mayuri Icche Putul serial

বন্দুক পাওয়া মাত্রই সেটা রূপের দিকে প্রথমে তাক করে ময়ূরী। তখন রূপ বলে, এর মধ্যে কোনও গুলি নেই। সেটা তার কাছে আছে। এরপর ময়ূরী রূপকে সবটা শিখিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এরপর রূপ বলে, প্রথমে মেঘকে একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এরপর গুলি চালাবে। কিন্তু কোনও শব্দ হবে না। কাজ হয়ে যাওয়ার পর বন্দুক আমায় দিয়ে দেবে। এরপর রূপ জানতে পারে, ময়ূরীর কাছে একটা হিরের সেট আছে।

আরও পড়ুনঃ ‘জল থই থই ভালোবাসা’ ধারাবাহিকের নায়ক বদল! নতুন নায়ক হয়ে কে এন্ট্রি নিচ্ছেন সিরিয়ালে?

সেটা শোনামাত্রই তার লোভ হয়। সে বলে, আমি তোমাকে এত বড় সাহায্য করছি। তুমি বিনিময়ে আমায় কিছু দেবে না। তুমি এই হিরের সেট আমায় দাও। আমি পরতে না পারলেও, বিক্রি করতে পারি। রূপ ঠিক কতখানি লোভী একটা মানুষ সেটা বুঝতে দেরি হয় না ময়ূরীর। অন্যদিকে বর আসার আগে উত্তেজনা বাড়তে থাকে মেঘের মা-বাবার। বিয়েটা ভালোয় ভালোয় মিটবে তো? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে দু’জনের মনে।

× close ad