জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল গুলির একটি হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। শুরু থেকে শিমুল আর তার শ্বশুরবাড়িকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দর্শকের কাছে এটি একটি চর্চিত সিরিয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী শিমুল আর পরাগের ডিভোর্স হয়ে গেছে।
কিন্তু শিমুল ওই বাড়ি থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। সে মধুবালা আর পুতুলের মুখ চেয়ে সেখানেই রয়ে গেছে। তবে তার জন্য ওই বাড়িতে ডিভোর্সের পর থাকাটা বেশ অসুবিধাজনক। পলাশের বিয়ে মিটতে না মিটতেই এবার পরাগ আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে। ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিয়েছে পরাগ।
তবে প্রিয়াঙ্কার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসাটা শেষপর্যন্ত হয়ত পরাগের স্বপ্নই হয়ে থাকবে। এতদিন প্রতীক্ষা আর পলাশ মিলে শিমুলের চরিত্র নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া করেছে। শতদ্রুর সাথে তার নাম জড়িয়ে নানাভাবে তাকে বদনাম করে গেছে। তবে বরাবরই বেশ তীব্র ভাবে প্রতিবাদ করে গেছে শিমুল।
আরও পড়ুনঃ বিচ্ছেদই হল শেষ পরিণতি! মেঘকে ছেড়ে এই অভিনেত্রীর পাশে ‘নীল’ অভিনেতা মৈনাক
কিন্তু, ধারাবাহিকে পুতুলের মাস্টারমশাইয়ের এন্ট্রি হওয়ার পরই ঘুরে গেছে গল্প। পুতুলের মাস্টার হিসেবে যে অভিনেতা ধারাবাহিকে প্রবেশ করেছেন। তিনি হলেন রাজা ঘোষ। এখানে অভিনেতার চরিত্রের নাম তীর্থঙ্কর। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু তীর্থঙ্কর শিমুলদের বাড়ি আসতেই হয়ে গেল গন্ডগোল। এই তীর্থঙ্কর একসময় প্রতীক্ষার ভালোবাসার মানুষ ছিল। প্রতীক্ষা তাকে প্রথম দেখায় না চেনার ভান করলেও সে ঠিক তাকে চিনে নেয়।
তার কথায় প্রতীক্ষা তাকে এমন ভাবে ঠকিয়েছে। সে কোনোদিনও তাকে ভুলতে পারবেনা। প্রথমে প্রতীক্ষা ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তীর্থঙ্কর সেটা এড়িয়ে না গিয়ে পলাশের সামনেই সব সত্যিটা তুলে ধরে। যে পলাশ এতদিন প্রতীক্ষার গুনগান গাইত সে এই সব শুনে যেন আকাশ থেকে পরে। এবার দেখার প্রতীক্ষা আর পলাশের মাঝে এই অতীতের ঠিক কতটা প্রভাব পরে?