জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Katha)য় শিমুলেরই শুধু প্রাক্তন নেই। প্রাক্তন রয়েছে প্রতীক্ষারও। এবার সেটাই এল প্রকাশ্যে। এতদিন শিমুলের গায়ে মন খুলে কাদা ছিটিয়েছে প্রতীক্ষা। এবার তার কি হবে? প্রতীক্ষা এতদিন পলাশের কাছে খুব ভাল একজন জীবনসঙ্গী ছিল। তবে তার অতীত সামনে আসতে শুরু করলেই পলাশের কাছে খারাপ হয়ে উঠছে প্রতীক্ষা।
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক কাহিনী অনুযায়ী, দেখা যাচ্ছে পরাগ আর শিমুল আইনি ভাবে আলাদা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরাগের মা মধুবালা এবং পরাগের দিদি পুতুলের সাথে বেশ সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে শিমুলের। পরাগের মা শিমুলের শাশুড়ি নয়, শিমুলের মা হয়ে উঠেছেন। আর পুতুল ননদ তার দিদি। পুতুলের জন্য তার নিজের ভাইয়েরা ভালো কিছু ভাবেনি। সবসময় তাকে অবহেলা করেছে।
কিন্তু শিমুল সেটা করেনি, শিমুল পুতুল দিকে একটা সাধারণ সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মতোই দেখে। তার কাছে সে কোনো মানসিক রোগী নয়। আর তাই তো শিমুলের স্বপ্ন পুতুলদিকে শিক্ষিত করা। সেকারণে তার জন্য একটা নতুন স্যার খোঁজে। যে শুধু তাকে পড়াবেই না, পড়ানোর পাশাপাশি তাকে সামলাতেও সক্ষম হবে। তাকে বুঝবে। আর এরকমই একজন মানুষকে শিমুল খুঁজে পায়।
আরও পড়ুনঃ পর্দায় সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়, বাস্তবে কতটা মধুর পর্ণা-কৃষ্ণা? জানালেন নিজেরাই
স্যার পুতুলকে পড়াতে আসে। আর এই পড়ানো নিয়ে প্রতীক্ষা প্রবল আপত্তি জানায়। এরপর শিমুল যখন পুতুলের স্যারের সাথে পরিচয় তাকে পরিচয় করতে যায় তখন প্রতীক্ষা অবাক হয়ে যায়। তারপর যখন শিমুল বলে, ও হল পুতুল দির ছোটো ভাইয়ের বউ….নামটা যখনই বলতে যায় তখনই স্যার প্রতীক্ষার নাম উচ্চারণ করেন। এই ঘটনায় সকলেই অবাক হয়ে যায়।
আসলে এই স্যার হলেন প্রতীক্ষার প্রাক্তন। প্রতীক্ষা সেটা অস্বীকার করলেও স্যারের কথা শুনে মনে হল তিনি অস্বীকার করেননি। এবং এটাও বোঝা গেল, স্যার প্রতীক্ষার ব্যাপারে অনেক কিছুই জানেন। আর সেগুলো যদি পলাশকে বলে দেয়, তাহলে প্রতীক্ষার জীবনে বড়সড় কিছু ঘটতে পারে। এতদিন শিমুলকে সে বিপাকে ফেলত, এখন প্রতীক্ষা নিজেই বিপাকে পড়েছে।