কে দোষ করে আর কাকে ফল ভোগ করতে হয়। এই জিনিসটা অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে শ্যামলীর জীবনে। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Bheseche) তে শ্যামলী চরিত্রটিকে দেখা যাচ্ছে। শ্যামলী খুবই অসহায় মেয়ে। তার জীবনটা বড়োই কঠিন। জীবনে একটু আশ্রয় চেয়েছিল।
আর সেই আশ্রয় তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোড়াবাড়িতে শ্যামলী আশ্রয় পেয়েছে। কিছু জন ছাড়া সকলেই তাকে পছন্দ করে। কিন্তু সবথেকে বেশি যে মানুষটা শ্যামলীকে পছন্দ করে সেটা হল কিঞ্জল। কিঞ্জল তাকে খুব ভারোবাসে। শ্যামলীর জন্য সে সব উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু শ্যামলী তা চায়না। আর তাই তো শ্যামলীকে কিঞ্জল ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবের পজিটিভ উত্তর পাওয়ার আগেই জলে তলিয়ে গেল কিঞ্জল।
কিঞ্জলের এই বিপদের সময় সেখানে শ্যামলী উপস্থিত ছিল। তাই সকলেই তাকে দোষ দিচ্ছে। কিঞ্জলকে শ্যামলীই মেরেছে। তাই শ্যামলীকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। এর পাশাপাশি অনিকেত যে শ্যামলীর পাশে থাকত, শ্যামলীকে সাহস জোগাত। সেও শ্যামলীকে ভুল বুঝে অপমান করল।
আরও পড়ুনঃ জব্বর টুইস্ট গল্পে, শিমুলকে ফাঁসাতে পরাগকে মেরে ফেলল প্রতীক্ষা, ফাঁস ধুন্ধুমার পর্ব
অনিকেত শ্যামলীকে প্রশ্ন করেন, ‘কেন মারলেন আমার ভাইকে? ও তো আপনার কোনো ক্ষতি করেনি। ওর তো কোনো দোষ ছিলনা। আপনার মতো একটা মেয়েকে ভালোবেসে ও ভুল করেছিল।’ এরপর অনিকেত নিজেকে দোষ দেয়, কারণ শ্যামলীকে সে-ই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। শুধু তাই নয়, শ্যামলীকে তারা থাকতে দিয়েছে, আর শ্যামলী এমন একটা কাজ করল।
আক্ষেপ অনিকেতের। কিন্তু শ্যামলীতো এই কাজ করেননি। শ্যামলীকে কেউ ফাঁসিয়েছে। আর সেই ব্যক্তি কারা? শ্যামলী কি করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে, সেটাই এখন দেখার। আগামী পর্বে দেখা যাবে শ্যামলীকে কোর্টে তোলা হবে। সকলেই শ্যামলীর বিরুদ্ধে কথা বলছে। তবে শ্যামলী বারবার বলছে কিঞ্জল স্যারের কিছু হয়নি।