জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) সিরিয়ালে (Serial) সদ্য ঈশার পর্দাফাঁস হয়েছে। বাড়ির লোকের সামনে ঈশার ভালোমানুষির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে পর্ণা। প্রথমে ঈশা স্বীকার না করতে চাইলেও, পরে চাপে পড়ে নিজের সব কুকর্মের কথা মেনে নেয় সে। এদিকে ঈশার আসল রূপ দেখে অবাক হয়ে যায় বাবুর মা।
ঈশা নিজের মুখে সকল কুকীর্তির কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর সৃজনের (Srijan) জেঠিমা বলেন, এমন মেয়ে সত্যিই ভীষণ ক্ষতিকর। দেখ ছোট, তুই কেমন মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিয়ে দিতে চাইছিলি। আমার তো এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে যে আমি ওর টাকায় খাবার খেয়েছি। সেকথা শুনে কৃষ্ণাও নিজের ভুল স্বীকার করে নেয়। সে বলে, তুমি ঠিক কথাই বলছ দিদি। বাবুর বাবা একদম ঠিক বলে, আমার কোনও বুদ্ধি নেই।
যে মেয়ে আমাদের বাড়ির এত ক্ষতি করেছে তার সঙ্গে আমি নিজের ছেলের বিয়ে দিতে চাইছিলাম। ছেলে আর বৌমা এসবের সঙ্গে জড়িত শুনে ভীষণ রেগে যায় ধ্যাষ্টামো জেঠু। এরপর সৃজন নিজের মাকে বলে, তুমি সবসময় ঈশাকে ভালো মেয়ে ভেবেছ আর পর্ণাকে (Parna) কষ্ট দিয়েছ। একথা শুনে চুপ করে যায় কৃষ্ণা (Krishna)। এসবের পর পুলিশ এসে ঈশাকে (Isha) ধরে নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ শিমুলকে রঞ্জা অপমান করলে গর্জে উঠলো পরাগ! ধামাকা এপিসোড ‘কার কাছে কই মনের কথা’য়
পর্ণা বলে, ঈশা নিজের মুখে সব অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছে তার ভিডিও আছে। সে পরে ভিডিওটা দিয়ে দেবে। এদিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ঈশা মনে মনে বলতে থাকে, আমি ফিরে এসে তোর এমন ক্ষতি করব তুই ভাবতেও পারবি ন পর্ণা। ঈশাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পর্ণা বাড়ির সবাইকে বলে, ঈশাকে এই সকল কাজে সহায়তা করেছহে মৌমিতা (Moumita) আর অয়ন (Ayan)।
প্রথমে অয়নকে মারে অখিলেশ (Akhilesh)। এরপর ঠাম্মি বলে দেয়, এদের দু’জনকে আর ক্ষমা করা যাবে না। কারণ তারা সবসময় সবার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। এরপর অয়ন-মৌমিতা বাড়ির সবার কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু ধ্যাষ্টামো জেঠু তা সত্ত্বেও তাদের ক্ষমা করে না।
আরও পড়ুনঃ সৃজনের ভয় সত্যি হল, সন্দেহবাতিক বরকে ছেড়ে অনুভবের হাত ধরল পর্ণা! ফাঁস ধামাকা পর্ব
অখিলেশ বলে দেয় অয়ন-মৌমিতা না আটকাতে। তারপর তিনি দু’জনকে বের করে দিতে থাকেন। তাহলে কি ফের পর্ণার ক্ষতি করার জন্য হাত মেলাবে ঈশা, অয়ন আর মৌমিতা? নাকি এবার সত্যি সত্যিই নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে তারা?