Neem Phooler Madhu : জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সময়ের সাথে সাথে। একদিকে যেমন কৃষ্ণা চরিত্রটি নিয়ে চলে জোর সমালোচনা। অন্যদিকে, একসাথে পরিবারের হৈ হুল্লোড় বা বিপদে একে অপরের পাশে থাকা। সবটাই আলোচ্য বিষয় দর্শকদের জন্য। পর্ণাকে চাপিয়ে সবার নজর কাড়ে জেঠুর চরিত্রটি। যার মধ্যে রয়েছে রাগ, একগুঁয়েমি, প্রাচীনপন্থী মনোভাব আবার পরিবারের প্রতি অদম্য ভালোবাসা।
প্রতিটি পর্বে তার অভিনয় মন জয় করেছে দর্শকদের। বর্তমানে পর্ণা-সৃজন আর গোটা দত্তবাড়ির বড় শত্রু হয়ে উঠেছে ইশা। যাকে খাল কেটে কুমির ডাকার মত কৃষ্ণা শাড়ির কথার ডিজাইনার হিসাবে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু সে পর্ণার সাথে নিজের শত্রুতা মেটাতেই ব্যস্ত। শুধু তাই নয় সৃজনকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইশা।
নোংরা বদনাম দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে যখন সে সৃজনকে পেলনা তখন আড়াল থেকে অয়ন-মৌমিতার সাহায্য নিয়ে চাল চেলে ফেলেছে ইশা। পর্ণা শাড়ির কথার তরফে একটা ক্যালেন্ডার শ্যুট আয়োজন করলে ইশা ফটোগ্রাফারকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু শেষমেষ ইশা তার প্ল্যানে সফল হতে পারেনি। পর্ণার প্রাক্তন কাকতালীয় ভাবেই সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় পর্ণাকে উদ্ধার করতে।
কিন্তু অনুভবকে দেখা মাত্রই ভিতরে ভিতরে জ্বলতে শুরু করেছে। সে পর্ণাকে আগলাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। তবে পর্ণা অনুভবকে শুধুই বন্ধুর চোখে দেখে। অন্যদিকে, অনুভবকে দেখে ইশাও নিজের স্মৃতিচারণে ব্যস্ত হয়ে পরে। তার মনে পরে একসময় সে অনুভবকে প্রপোজ করলে অনুভব তাকে না করে দিয়েছিল।
কিন্তু ইশা এখানেও পর্ণাকে প্যাঁচে ফেলার নতুন পথ পেয়ে যায়। ইশা মৌমিতাকে জানায় অনুভব পর্ণাকে প্রপোজ করেছে। পর্ণাকে সে ভালোবাসে। কিন্তু পর্ণা অনুভবে না করে দেয়। সে অনুভবে বন্ধু হিসাবেই পেতে চায়। এবার দেখার এই ঘটনাকে ঘিরে ইশা আবার পর্ণা আর সৃজনের মাঝে ভাঙ্গন ধরাতে সক্ষম হয়ে যায় কিনা?
