‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিক এখন দারুণ জমজমাট হচ্ছে। একদিকে ঈশার মুখোশ সবার সামনে খুলে দিতে হাত মিলিয়েছে সৃজন-পর্ণা। অন্যদিকে সৃজনকে বিয়ে করে দত্ত বাড়ির বৌ হওয়ার স্বপ্নে মশগুল ঈশা। তবে পর্ণা থাকতে তো এটা সম্ভব নয়! সৃজনকে বিয়ে করার আগেই ঈশার আসল চেহারা সবার সামনে নিয়ে আসবে সে। জি বাংলার (Zee Bangla) এই সিরিয়ালে (Serial) সম্প্রতি দেখানো হয়েছে, ঈশাকে দত্ত বাড়ি নিয়ে এসেছে মৌমিতা।
তাকে সহ্য না করতে পারলেও মিথ্যে ভালোবাসার নাটক করছে সৃজন। অন্যদিকে সৃজনের থেকে আলাদা হয়ে নতুন শাড়ির কথা খুলেছে পর্ণা (Parna)। সে দেখাতে চাইছে, সৃজন এখন তার শত্রু। এসব দেখে ঈশা (Isha) বেশ খুশি হয়ে যায়। সে মৌমিতাকে বলে, দেখো এখন সৃজন কীভাবে আমার নাম করছে! ঈশার এই কথায় তাল দেয় মৌমিতাও (Moumita)। সে বলে, সৃজনের (Srijan) মুড যেন বদলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে।
ঈশা তখন বলে, সেটা হওয়ার আগেই বিয়েটা সেরে ফেলতে হবে। এরপর সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে পর্ণার দোকানে চলে আসে সৃজন। তাকে দেখে একইসঙ্গে খুশি এবং চিন্তা হয় পর্ণার। সে সৃজনকে চলে যেতে বলে, তবে বাবুউউউ রাজি হয় না। পর্ণা বলে, এই রাস্তা দিয়েই ঈশা নিজের বাড়ি যায়। ঠিক তখনই ঈশাকে আসতে দেখে পর্ণা।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করলেন ‘রাখী বন্ধন’ খ্যাত এই অভিনেত্রী!
তাকে দেখামাত্রই ঝগড়ার নাটক করতে শুরু করে দেয় সৃজন-পর্ণা। এরপর ঈশাকে সেখানে আসতে দেখে সৃজন বলে, আমার সঙ্গে এখন ঈশা আছে। তুমি চাইলেও আমার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। এটা শুনে খুব খুশি হয় ঈশা। এরপর তাকে দেখে অবাক হয়ে যাওয়ার নাটক করে সৃজন। সেই সঙ্গেই ঈশাকে ট্যাক্সি অবধি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলে, তারা চলে যাওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পর্ণা।
এদিকে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে পর্ণা জানায়, বিকেলে সকলকে সিঙারা আর সরবত দেওয়া হবে। বিকেলে লোকজন সেখানে ভিড় করতে থাকে। সেই সঙ্গে সৃজনের বাবাও সেখানে আসে। তিনি বলেন, তুমি আমাদের যে ভুলে যাওনি সেটা দেখে আমার খুব ভালোলাগছে। একথা বলে, তিনিও সিঙারা এবং শরবত খেতে থাকেন। এদিকে সৃজন বলে, সে আবার পুরনো শাড়ির কথা খুলবে। ছেলের কথায় সায় দেয় বাবুউউর মা।
আরও পড়ুনঃ ভ্যালেন্টাইনস ডে তে মনের মানুষ খুঁজে পেল অর্জুন ইরা, প্রকাশ্যে আগাম এপিসোড!
এরপর সেখানে চলে আসে ঈশা। সে বলে, ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষ্যে তারা একটা ক্লাবে গিয়ে নাচ-গান করবে। ঈশার এই প্ল্যানের কথা পর্ণাকে জানিয়ে দেয় বর্ষা। এরপর সেখানে পৌঁছে সকলে মিলে হোস্ট তাদের অপেক্ষা করতে বলে এবং পর্ণা আর অনুভবের আসার কথা বলে। পর্ণা আসছে শুনে মনে মনে খুশি হয় সৃজন। কিন্তু বাইরে রেগে যাওয়ার নাটক করে। সে সেখান থেকে চলে যেতে চায়, তবে বাধা দেয় ঈশা। তাহলে কি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনেই ঈশার মুখোশ খুলে দেবে সৃজন-পর্ণা?