Phulki : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘ফুলকি’। ধারাবাহিকের নায়িকা ফুলকি গ্রামের মেয়ে হলেও, তার মধ্যে রয়েছে প্রতিবাদী সত্তা। সে ভুলকে ভুল বলে আর ঠিককে ঠিক বলে। রোহিত সেন তাকে মর্যাদা না দিলেও, ফুলকি তার স্বামী রোহিত সেনকে ঠিকই মর্যাদা দেয়। আর তাই তো সে সবসময় তার পাশে রয়েছে। পাশে থেকেই বিপদের সম্মুখীন ফুলকি।
ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেনই ফুলকি আর রোহিতের শত্রু শালিনী ম্যাডাম। ইনি হলেন রোহিতের প্রাক্তন। একসময় রোহিতকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল, কিন্তু এখন যখন রোহিত শান্তিতে থাকছে, তখন শালিনী শান্তিতে থাকতে পারছেনা। তার সেই রোহিতকেই চায়। আর যখন রোহিতকে পাচ্ছেনা, তখন রোহিতের জীবন সে শেষ করতে চায়।
রোহিতের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু ওই যে ফুলকি এসব সহ্য করে না, সে মিথ্যাকে মিথ্যা বলে, আর সত্যকে সত্য। তাই সে ছদ্মবেশে মুখে গোঁফ লাগিয়ে সংবাদপত্রের অফিসে চলে যায়। গিয়ে দেখা করে সংবাদপত্রের মুখপাত্রের সাথে। আর দেখা করতে গিয়েই ফুলকি পড়ে বিপদে। সংবাদপত্রের মুখপাত্র মধুমন্তীর সাথে ধাক্কা লেগে ফুলকির মাথার টুপি খুলে যায়।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি তলানিতে, ‘রামপ্রসাদ’ ছাড়ছেন মুখ্য সদস্য! মাথায় হাত দর্শকদের
আর তখনই সবাই ভাবে ফুলকি গুন্ডাদের লোক। তারপর ফুলকি বলে সে গুন্ডাদের লোক নয়। কেন ফুলকি এখানে এসেছে, কি তার উদ্দেশ্য, সবটা জানায়, কিন্তু তা সত্ত্বেও কেউ ফুলকিকে বিশ্বাস করেনা। শেষমেশ সিকিউরিটি দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সে মধুবন্তী ম্যাডামের গাড়ির পিছনে পিছনে ছুটতে থাকে।
ম্যাডাম গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দেয়, বেশ কিছু গুন্ডা মধুবন্তীকে রাস্তা আটকায়, বন্দুক ধরে। মধুবন্তীকে ফুলকি বাঁচানোর চেষ্টা করলে ফুলকির হাতে গুলি লেগে যায়, ফুলকি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। রোহিত গুন্ডাদের সাথে মারামারি করে। এরপরে ফুলকিকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ফুলকির জীবনে কি হতে চলেছে সেটাই দেখার।